by KMDB (Utsaleena Das)
‘স্ত্রীর পত্র’ রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি ছোট গল্প। আজ, বেশ কয়েক শতক পর পরিচালক অনীক চৌধুরী এই গল্পের উপরই কিছু গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। অনীক যথাযথই বলেছেন, “স্ত্রীর পত্র, অর্থাৎ, যে সংলাপ আমি লিখেছি, তা সম্পূর্ণরূপে রবীন্দ্র-রচিত জগত ঘিরেই গড়ে উঠেছে। ব্যতিক্রম কেবল তার সম্মোহক ভাবধারা। বাদ বাকি কোনও কিছুই এখন প্রকাশ করা যাবে না। অবশ্য এ ছবিতে আমি মৃণালের চিঠির উত্তর দিয়েছি।” এটি পরিচালকের দ্বিতীয় ফিচার ফিল্ম, কিন্তু তার প্রথম মূলধারার ছবি, Cinema Bid Adieu, থিসিস হিসেবে ওয়ার্ল্ড সিনেমা ফোরাম-এ উপস্থাপন করা হয় এবং নেদারল্যান্ডস-এও স্ক্রিন করা হয়।
স্ত্রীর পত্র ছবির সহযোগী পরিচালক ও প্রডাকশন কন্ট্রোলার শুভজিত নস্কর ছবির প্রাক-প্রযোজনা পর্যায়-ও সক্রিয় ভুমিকা পালন করেছেন।
এই ছবির পরি্চালকের জন্ম কলকাতাতেই। কিন্তু আপাতত তিনি দিল্লীর বাসিন্দা। মনে করা হচ্ছে এই ছবিই তার ঘরে ফেরার ইঙ্গিত বয়ে আনছে। অনীকের শেষ ছবিটি ১৫-র বেশী আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে তার যোগ্য সম্মান ও প্রসংশা লাভ করেছে। বাংলা ভাষায় অনীকের প্রথম ছবি ‘স্ত্রীর পত্র’-ও যে সমালোচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে তা বলাই বাহুল্য। এটি আরও একটি ইন্ডি মোশান পিকচারস যা মুক্তি পাবে ‘পরিচালক অনীক’ ও ‘কার্টুন প্রডাকশান্স’-এর ব্যানারে।
এই ছবিতে ‘কলকাতা মুভি ডেটাবেস’ (KMDB) সমস্তরকম ভাবে তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এ ছাড়া, হ্যাম্পস্টন (Hampston) আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মাইক ফিশারম্যান-এরও সহযোগিতা রয়েছে এই ছবির সঙ্গে। তার সাথে আছেন মাইক মান্টার-ও।
এই ছবির মুখ্য দুই চরিত্রে রয়েছে কৌশিক রায় আর সঞ্চারী দত্ত। সুর তৈরি করেছেন সৈকত চট্টোপাধ্যায়।
“রবি ঠাকুর কখনও ধরা দেন, কখনও আবার তিনি স্পর্শের অতীত। তাই আমি তাঁকে নিজের মত করে ভেঙে নিয়েছি ও প্রকাশ করেছি প্রকাশ মাধ্যমের স্বকীয়তায়। আমি কাজ করি মানুষের সমস্যা নিয়ে; সেই সমস্ত মানুষ যারা সদা নিযুক্ত রয়েছে টিকে থাকার লড়াই-এ। আমি বিশ্বাস করি উন্নতি করবার পথ কবিতাই দেখাতে পারে। তাই আমি তৈরি করি কবিতার আবহ; তা সে গতানুগতিক বা ফ্যাকাসেই হোক কিম্বা উজ্জ্বল। কোনও কোনও ক্ষেত্রে ‘স্ত্রীর পত্র’ খুবই আটপৌরে। তবে তার বেশীর ভাগটাই এক ন্যায্যতা দাবীর কথা বলে। সমস্ত কিছু বেঠিক পথে চালিত হওয়ার আগে কিম্বা চরম অনুশোচনায় ভেঙে পড়ার আগে কিছু জিনিস পরিষ্কার করে তুলে ধরার এক আবেগ ও ইচ্ছের কথা বলে।”-অনীক